নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষার উক্তি । নোয়াখালীর বাণী

আঞ্চলিক ভাষার উক্তি

আমরা প্রায় একটা কথা শুনে থাকি যে এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। নোয়াখালীতে আঞ্চলিক ভাষায় অনেক উক্তি আছে যেগুলোকে ছোলক বা বুলি বলে। প্রবীনরা প্রায়ই কথা কথায় এই ছোলকগুলো বলে থাকেন। তার কিছু কিছু আঞ্চলিক ভাষার উক্তি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

১। জোয়ান কালে দিলা না শাড়ি, নাড়িচাড়ি পড়তাম, বুড়া কালে দিলা শাড়ি চেচ্যাই চেচ্যাই হাইটতাম।

২। মান্দার গাছে হিছা লটকাইছে।

৩। পিরিত পিরিত গোল মরিচের ঝাল, পিরিত আর থাকবে কত কাল!

৪। কিয়ের লগে কি, হান্তা ভাতে ঘি।

৫। বেগার লাই বেগি, রাজার লাই মহা এক দেবী।  (যার যার স্বভাবমতই জীবন সঙ্গী হয়।)

৬। একে করে পাপ, সবে ব্যথা পায়, ছাওয়ালে আগুন লাগলে ঘর পোড়া যায়।

৭। ছৈয়ালের ভাঙ্গা ঘর, কবিরাজের নিত্য জ্বর। 

৮। আমে ভাতে মিলি গেলে, বারাগা ভেটকাই রইছে।

৯। নিজের বলায় হোল আনা, হরের বেলায় চাইর আনা।

১০। চোরেরে কয় চুরি কর, গৃহস্থরে কর হজাগ থাক।

১১। কুত্তার লেজ বার বছর, চুঙ্গার বইললেও যে বেঁয়া হে বেঁয়া।

১২। কাউয়া চিনে ঘাউয়া হল, হৈকে চিনে মন্ডল।

১৩। ঠাডা হড়ি বগা মরে, হৈরা কয় কেরামতি ছুটছে।

১৪। নাপিত দেইখলে নোক্কুনি বাড়ে।

১৫। যদি থায় নসিবে, হোন্দে আঁডি আসিবে

১৬। নাইছতো ন জাইনলে উডান বেঁয়া।

১৭। তুই আঁডছ ঠাইলে ঠাইলে, আঁই আঁডি হাতায় হাতায়।

১৮। আজাইরগ্যা থাই গজারগ্যা মারে।

১৯। তুই যেই হইরের মাছ, আঁই হেই হইরের উদ্‌ ।

২০। একেতো নাচের বুড়ি, আরো হাইছে ঢোলের বাড়ী।]

২১। যে হাতে খায় হেই হাতে আগে।

২২। যার লাই কইরলাম চুরি হেতে কয় চোর।

২৩। যার গর কইরলাম চুরি হেতেও কয় চোর।

২৪। আঁই ভালা তো আঁর দুইন্নাই ভালা।

২৫। মাথায় থোয়না উনের ডরে,মাডিত থোয়না হিমডার ডরে।

২৬। হরের মাথায় নুন থুই বরই খায়।

২৭। হুরান চাইল ভাতে ভাড়ে, হুরান ঘিয়ে মাথা ছাড়ে।

২৮। দুই দিনের বৈরাগী, ভাতেরে কয় অন্ন।

২৯। গাছের শক্র লতা, মাইনষের শক্র কথা।

৩০। আক্কেলে আক্কেলে টিবা টিবি, বে-আক্কল অইলে কিলা কিলি।

৩১। হরের লাই খাদ কুঁড়ি, নিজের খাদে নিজে হড়ি।

৩২। খায়না খায়না নারি, খায় সোয়াসের মারি।

৩৩। ছিঁড়া খেঁতায় হুতি থায়, লাখ টেঁয়ার হবন দেয়।

৩৪। হক্কুনের দোয়ায় গরু মরেনা।

৩৫। হাত দিন চোরের, এক দিন গেরস্তের।

৩৬। বইত দিলে হুইত্ত চায়।

৩৭। হাইদলে বউ খায় না, চুরি করি চাইল চাবায়।

৩৮। দাদা কইছে বাইনতো ধান, বাইনতো আছে ওদা ধান।

৩৯। জামাইর লাইও হরান হরে, মুরগীর লাইও হরান হরে।

৪০। হইরের হুডানি, কাইরে কয় চিরুনি।

৪১। ভাইরে ভাই চিনে না, তালতো মইরলে চা খায়।

৪২। তলে তলে টেম্পু চলে, আমরা কইলে হরতাল।

৪৩। অতি চালাকের গলায় দড়ি, চালাক মরে হেনে হরি।

৪৪। আঁতি খাদে হইরলে চামচিকাও লাইচ্চায়।

৪৫। বেইয়ারে মারে হিছা, বেইয়া কয় হুদামিছা।

৪৬। হোন মরা কাউয়ার আছন ভরা ডাক।

৪৭। খাইতে দিলে খায় না, হাতে দিলে থায় না।

৪৮। মারে মা কয় না, হোরিরে কয় আম্মা।

৪৯। হুরান হাগলে ভাত নাই, নতুন হাগলের আমদানি।

৫০। মার কাছে মামুর বাড়ীর গল্প।

নোয়াখালী ভাষার মতো আর কোন আঞ্চলিক ভাষার উক্তি বা বানী জানতে চান আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। চেষ্টা করবো এইরকম আরো মজার মজার বাণী আপনাদের সাথে শেয়ার করার।

Leave a Comment