কাজ নিয়ে বাণী
কাজের মাধ্যমে মানুষ বেঁচে থাকে। কর্মই মানুষকে চিরঞ্জীব করে রাখে। সেই কর্ম যদি হয় ভালো কর্ম তাহলে তা মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখে। “জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো’ এই কাজ নিয়ে বাণী গুলোর মাঝে এটা একটা উল্লেখযোগ্য বাণী। কোরআন, হাদীস, বাইবেলসহ সকল ধর্মে এই কর্ম বা কাজ নিয়ে অনেক উপদেশ ও নির্দেশনা রয়েছে। তার কিছু এখানে তুলে করা হলো।
১। সৎকাজে তোমরা একে অন্যের প্রতিযোগিতা কর।
আল কোরআন
২। তাহারাই সৎ কর্মী, যাহারা স্বীয় ক্রোধকে দমন করতে পারে এবং অপরকে ক্ষমা করতে পারে, যখন ক্ষমা করা বিধেয়।
আল কোরআন
৩। তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির কাছে পাওয়া যায়, তাহার আত্নীয়-স্বজন, ধন দৌলত ও কর্ম। উহাদের দুইটি অর্থাৎ আত্নীয়-স্বজন ও ধন দৌলত ফিরিয়া আসে এবং একটি অর্থাৎ শুধু কর্মই সঙ্গে সঙ্গে থাকে।
আল হাদীস
৪। যে নিজের বা পরের জন্য কাজ করে না, সে আল্লাহর কোন পুরস্কার পাবে না।
আল হাদীস
৫। যে কাজে তোমার হৃদয় অট ল ও সমতা লাভ করে, তাহাই সৎ কার্য এবং মনুষ্য হইতে নিষ্কৃতি পাইয়াও যে কার্যে তুমি সংশয়ে নিপতিত হও, তাহাই অসৎকার্য।
আল হাদীস
৬। যাহার জীবন দীর্ঘ ও সকল কর্মই পুণ্যময় হয়, সেই সর্বাপেক্ষা ভাল এবং যার জীবন দীর্ঘ এবং যাহার কর্ম অসৎ সেই সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তি।
আল হাদীস
৭। যে ব্যক্তি নিজের জন্য কিংবা পরের জন্য পরিশ্রম করিতে পরান্মুখ, সে খোদার পুরস্কার হইতে বঞ্চিত।
আল হাদীস
৮। যে ভূমি কাহারও নহে, তাহার মালিক ঐ ব্যক্তি যে স্বীয় পরিশ্রম দ্বারা তাহা আবাদ করিয়া দখল করে।
আল হাদীস
৯। উত্তম উপার্জন হলো শ্রমিকের উপার্জন, যদি সে মালিকের কল্যাণ কামনা সাথে কাজ করে।
আল হাদীস
১০। শক্তিসম্পন্ন ও কার্যে সক্ষম হইয়াও যে নিজের জন্য পরিশ্রম বা অপরের কোন কার্য সম্পাদন করে না, আল্লাহ তাহার উপর প্রসন্ন নহেন।
আল হাদীস
১১। মজুরের ঘাম শুকাইবার পূর্বে তাহার মজুরী দিয়ে দাও।
আল হাদীস
১২। খুব ভাবিয়া চিন্তা কাজ করাকেই খোদাতায়লা ভালবাসেন।
আল হাদীস
১৩। শ্রমিকদের উপর ঐ পরিমাণ কাজের দায়িত্ব চাপাবে, যা তারা সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারে এবং তাদের শক্তি অনুসারে কাজ করতে দিবে-যাতে তাদের ঐরূপ কাজ করতে না হয়-যা তাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
আল হাদীস
১৪। দুনিয়ার কাজে এমনভাবে মশগুল হও যেন তুমি চিরকালই বাঁচিয়া থাকিবে এবং আখেরাতের জন্য এমনভাবে কাজ করিয়া যাও যেন আগামীকালই তোমার মৃত্যু হইবে।
আল হাদীস
১৫। অলসতার প্রতি আত্নসমর্পণ করার অর্থ নিজের অধিকার হতে স্বেচ্ছায় বঞ্চিত হওয়া। আল্লাহর চোখে ছোট বড় সবাই সমান। তিনি লোকের পদমর্যাদা দেখে বিচার করেন না, তাদের কাজ দেখে বিচার করেন।
হযরত আলী (আঃ)
১৬। ভিক্ষা করার চেয়ে যে কোন সামান্য পেশাও শ্রেয়।
হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)
১৭। এই তিনটিকে সৎকাজে ব্যবহার করুন- চক্ষু, জিহবা এবং হাত।
মাওলানা ভাসানী
১৮। কর্মঠ লোক রাজা হবে, কিন্তু অলস চিরদিনই প্রজা থাকবে।
হযরত সোলায়মান (আঃ)
১৯। অলসদের পক্ষে পীপিলিকার জীবন হতে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। কঠোর পরিশ্রম করে এরা জীবিকা সংগ্রহ করে এবং দুর্দিনের জন্য সঞ্চয় করে রাখে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে।
হযরত সোলায়মান (আঃ)
২০। কর্মসাধনা পুণ্য মানুষকে বড় করে, শুধু প্রার্থনার আঁখি জলে নহে। খোদা শুধু আঁখিজলে ভোলেন না।
ডাঃ লুৎফর রহমান
২১। পরিশ্রমী মানুষের মুখ সবচেয়ে মিষ্টি।
বাইবেল
২২। সৎকার্য উহাই, যার বিনিময়ে মানুষের নিকট কোন কিছুর প্রত্যাশা করা হয় না।
বাইবেল
২৩। শ্রম ব্যতীত কিছুই লাভ করা সম্ভব নয়।
মঈনুদ্দীন চিশতী
২৪। জীবন ভরে কাজ করে গেলাম বলে গৌরব করা উচিত নয়, কয়টা কাজ সুন্দর ও সুচারুভাবে নির্বাহ করলাম তার উপরই কৃতিত্বের দাবী করা উচিত।
বিচার্ড হার্ডসন
২৫। যারা কাজ করতে চায় না, তারা কাজ করার পথও খুঁজে পায় না।
এলবার্ট হারবার্ড
২৬। সারা দিনের কাজের শেষ করণীয় বিষয়গুলো হলোঃ-
- আজ নতুন কী কাজটি করলেন?
- আজ নতুন কি শিখলেন?
- আজ কাকে সাহায্য করলেন?
- আজকের দিনের জন্য বিশেষ মূল্যবান কি কাজটি করলেন?
হারবার্ট ক্যাশন
কর্ম বা কাজ নিয়ে বাণী রয়েছে অসংখ্য। তার মাঝে কিছু উল্লেখ্যযোগ্য উক্তি আমাদের টিম আপনাদের জন্য তুলে ধরেছেন। আশা করছি ভালো লাগবে।