শক্তি ও সংগ্রাম নিয়ে রয়েছে অনেক মহান মনীষীদের বাণী। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বাণী এখানে তুলে ধরা হলো।
১। যে বিপদে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ তাকে উত্তমরূপে পুরস্কৃত করেন।
আল কোরআন
২। যে ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত হয় নাই সে প্রকৃত সহিষ্ণু হইতে পারে না, যেমন বহুদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা ব্যতীত কেহ সুচিকিৎসক হইতে পারে না।
আল হাদীস
৩। জীবন যতক্ষণ আছে বিপদ ততক্ষণ থাকবেই।
ইমারসন
৪। শক্তির দুটো অংশ আছে-এক অংশ ব্যক্ত, আর এক অংশ অব্যক্ত…। এক অংশ প্রয়োগ, আরেক অংশ সম্বরণ। শক্তির এই সামঞ্জস্য যদি নষ্ট কর তাহলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে, সে ক্ষোভ মঙ্গলকর নয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫। আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ,
আমি বজ্র, আমি ঈশান বিষাণে ওঙ্কার,
আমি ইস্রাফিলের শিঙ্গার মহা হুঙ্কার।
কাজী নজরুল ইসলাম
৬। বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে,
আমি যাই তারি দিন পঞ্জিকা লিখে,
এত বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ,
দিকে দিকে উঠে অবাধ্যতার ঢেউ;
স্বপ্ন চূড়া থেকে নেমে এসো সব
শুনেছ? শুনছ উদ্দাম কলরব?
নয়া ইতিহাস লিখছে ধর্মঘট,
রক্তে রক্তে আঁকা প্রচ্ছদপট।
সুকান্ত ভট্টাচার্য
৭। দুনিয়ার বুকে আমরা দেখি যে, কোন বিদ্রোহীকে দুনিয়ার কোন সরকারই প্রশ্রয় দেয়না। তদ্রুপ খোদাদ্রোহীদের জন্যও সৃষ্টির সকল কল্যাণের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যায়। তাদের কোন প্রচারই ফল লাভ হয় না।
আবুল কালাম আজাদ
৮। বিদ্রোহী হইলে মানুষ বিরক্ত হয়-বিরুদ্ধ কথা শুনিলে উগ্র হওয়া মানুষের স্বভাব, ইহা সত্য, কিন্তু বিদ্রোহ ও সমালোচনা ব্যতীত মানবসমাজ বা জগতের কোন কল্যাণ হয় না।
ডাঃ লুৎফর রহমান
৯। বিপ্লবের কোন পদ্ধতি অথবা দর্শন রাতারাতি জন্ম বা স্বীকৃতি লাভ করে না। আত্নপ্রকাশের সময় থেকেই তা কঠিন পরীক্ষা, প্রতিকুলতা, উপহাস ও সংস্কারের সম্মুখীন হয়। সমাজের পুরনো কর্মীরা নতুন কোন পদ্ধতির প্রতি সর্বদাই বিদ্বেস পোষণ করেন, কেননা চিরাচরিত পদ্ধতিতে সংগ্রাম পরিচালনা করেই তারা কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন।
মার্টিন লুথার কিং
১০। বাধা-বপত্তি আর বিপদকে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবেন না। কারণ আপনার চরিত্র মজবুত করে গড়ে তোলার জন্য এগুলো হচ্ছে প্রয়োজনীয় লোহার কড়িবর্গ।
চেষ্টারটন
১১। বিশ্বে যারা নিঃস্ব তাদের
চির নিদ্রা হতে জাগিয়ে দাও।
শোষক ধনীর প্রাসাদ প্রাচীর
জয় হুঙ্কারে টলিয়ে দাও।
ইকবাল
১২। এই পৃথিবীতে সাহসের বড় পরীক্ষাই হলো দৃঢ় মনে পরাজয় বরণ করা।
আর জি ইন্দার সোল
১৩। পৃথিবীতে উন্নতির পথে কেবল যে বিদ্যা বা বুদ্ধিই সহায়তা করে তা নয়, তার জন্য একটি বড় একতি বড় প্রয়োজন হচ্ছে সাহসের। সাহস মানুষকে দেয় সফলতার পথে এগিয়ে বাধা-বিপদ, ঝড়, ঝঞ্জা, ঘূর্ণি সবকিছুকে জয় করে সার্থকতার দিকে পৌঁছবার সোপান হচ্ছে সাহস। এ পৃথিবীতে যে ভীরু যে দূর্বল সে অসহায়। প্রকৃতি দেবী ভালবাসেন সাহসীকে। সাহসী তাই সর্বত্র পায় সফলতার জয়মাল্য, দূর্বলের জন্য শুধু জমা রয়েছে ঘৃণা আর ব্যর্থতা।
স্যার ওয়াল্টার স্কট
১৪। অসত্যের আস্ফালন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু সত্য চিরকালের। বাংলাদেশের মানুষ একদিন সেই সত্যের জয়ধ্বনি করবে।
১৫। পরাধীন দেশের সবচেয়ে বড় অভিশাপ এই যে, মুক্তি সংগ্রামে বিদেশীদের অপেক্ষা দেশের লোকের সঙ্গেই মানুষকে বেশী লড়াই করতে হয়। এই লড়াইয়ের প্রয়োজন যেদিন শেষ হয়, শৃংখল আপনি খসিয়ে পড়ে।
শরৎ চন্দ্র চট্রপাধ্যায়