হ্যালোইন উৎসব এবং এর ইতিহাস
তামান্না মহুয়া
আইরিশ ও স্কটিশ অভিবাসীরা ১৯শ শতকে উত্তর আমেরিকাতে হ্যালোইন উৎসব নিয়ে আসে। প্রতি বছর ৩১ শে অক্টোবর লন্ডন, আমেরিক, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে হ্যালোইন খুব জাঁকজমক ভাবে পালিত হয়।
এই উৎসবকে কানাডা, আমেরিকাতে খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব হিসেবে ধরা হয়। খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করে হ্যালোইনের দিনে ওদের মৃত আত্নীয়-স্বজনের আত্মা পৃথিবীতে ফিরে আসে তাদের সাথে দেখা করতে। কানাডিয়ানরা ওদের মৃত আত্নীয়-স্বজনকে স্বাগতম জানানোর জন্য বিভিন্ন রকম কংকাল, ভূত, মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বাড়ির সামনে ডেকোরেট করে।
কানাডা তে পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে হ্যালেইন উৎসব উদযাপন প্রস্তুতি চলে। শুধু হ্যালোইন উপলক্ষে অনেক মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করা হয়। মিষ্টি কুমড়াকে কেটে বিভিন্ন রকম ডিজাইন করে। অক্টোবর মাস আসলেই এখানকার বাড়িতে, শপিং মলে সব জায়গায় মিষ্টি কুমড়া, বিভিন্ন রকম ভূতের পুতুল দিয়ে সাজানো থাকে।
হ্যালোইনের দিনে , সব শপিং মলে, বাড়িতে বাচ্চারা বিভিন্ন রকমের সাজে সেজে আসে, ঠিক আমাদের দেশের স্কুলে বা কোন প্রতিযোগিতায় “যেমন খুশী তেমন সাজো” র মতো। বাচ্চারা এসে বেল বাজিয়ে বলে, “ট্রিক ওর ট্রিট“। তখন ডোর খুলে, বাড়ির মালিক বলে, ”হ্যাপি হ্যালোইন”, এর পর ক্যান্ডি অথবা চিপস দেয়। হয়ত বাচ্চাদের মাঝে তারা তাদের মৃত আত্নীয়দের ছায়া দেখতে পায়।
এই দিনটা বাচ্চাদের জন্য খুব আনন্দের দিন। সারা বছর জুড়ে শুধু এই দিনটার জন্য বাচ্চারা অপেক্ষা করে। সবার কাছ থেকে ফ্রি চকলেট পায়, ইচ্ছে মতোন বেশ ধারন করে। শুধু বাচ্চারা না , বড়রা ও হ্যালোইন খুব আনন্দের সাথে উদযাপন করে।
এই হ্যালোইন উপলক্ষে শপিং মলে চকলেট, ডেকেরেশন আইটেম, চিপস, পপস, কসটিউম এসব উপর নানান রকম ছাড় চলে। শুধু হ্যালোইন উপলক্ষে এক মাসের জন্য কসটিউমের বিজনেস করে অনেকে।
অনেক কানাডিয়ান, আমেরিকানরা বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কৃত্রিম ভাবে বানানো ভূতের বাড়ি দেখতে যায়। হ্যালোইনের দুইটা ব্যাপার আমার ভালো লাগে। প্রথমটি হচ্ছে, বাড়ির সামনে করা ডেকেরেশন এবং ফ্রি চকলেট বিতরন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে বাচ্চাদের বেশ ধারন। হ্যালোইনের পর অনেক মিষ্টি কুমড়া নষ্ট** হয় , এই ব্যাপারটা আমার ভালো লাগে না। আরেকটা ব্যাপার, কিছু কিছু ডেকরেশন সত্যি খুব ভয়ংকর**।
মিনিয়ন পামকিন টা আমি আর অফিস কলিগরা মিলে করেছি ।
এটা একটা জনপ্রিয় হ্যালোইন কিডস ছড়া গান ।
ছবি : গুগল