উপদেশ নিয়ে রয়েছে অসংখ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নানা বাণী বা উক্তি। সেগুলো থেকে উল্লেখ্যযোগ্য কিছু বাণী তুলে ধরা হলো।
যে উপদেশই দাও তা যেন খুব ছোট হয়
হোরেস
উপদেশ নিয়ে বাণী
১। যখন কোন লোক তোমার কাছে উপদেশের জন্য আসে বস্তুত সে তোমার কাছ থেকে তার প্রশংসা শুনতে চায়।
চেষ্টার ফিল্ড
২। (ক) অতি ভোজী কখনই এবাদতে শান্তি পাবে না।
(খ) যে অত্যাধিক নিদ্রা যায় তার আয়ু কমে যায়।
(গ) যে ব্যক্তি কেবল মানুষের মন যোগায় সে ব্যক্তি আল্লাহর মন জোগাতে সমর্থ হবে না।
(ঘ) যে অধিক কথা বলবে তার থেকে মিথ্যা ও পরনিন্দা নিশ্চয়ই বের হবে।
৩। মানুষ এত সহজে কোন কিছুই বিলিয়ে দেয় না, যত সহজে সে উপদেশ বিলিয়ে দিয়ে থাকে।
রো চে ফুকো
৪। সৎ উপদেশকে টাকার মূল্যে পরিমাপ করা যায় না।
ইরাসমুস
৫। যে তোমার উপদেশ শুনিতে চায় সে ছাড়া আর কাউকে উপদেশ দিও না।
হযরত আলী (রাঃ)
৬। যে ব্যক্তি অন্যকে সৎকর্মের উপদেশ দেয় আর নিজে সৎকর্ম করে না, সে ব্যক্তি মশালবাহী অন্ধের ন্যায় অন্যে তার দ্বারা পথ দেখে কিন্তু নিজে দেখতে পায় না।
প্লেটো
৭। একটি ভালো উপদেশ, একটি জীবনকে অনিবার্য ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
বি সি রায়
৮। ঠাট্টা করিও না, করিলে সম্মান নষ্ট হইবে। মিথ্যা বলিও না বলিলে ঈমানের জ্যোতি নষ্ট হইবে। নিরাশ হইওনা, হইলে হকের উপর থাকিতে পারিবে না। আলস্য করিও না, করিলে কর্তব্য কর্মে ত্রুটি হইবে।
আল হাদীস
৯। (ক) ধৈর্য, সততা, ভদ্রতা, নম্রতা ও উদারতা জ্ঞানীর লক্ষণঃ
(ক) অন্যের জানমাল রক্ষার জন্য নিজের জান মাল বিসর্জন দেয়
(খ) যে কথা বললে জ্ঞানের কথা বলবে
(গ) দান করবে কিন্তু গঞ্জনা দিবে না
(ঘ) স্বচ্ছল অবস্থায় মধ্যম পন্থা অবলম্বন করবে
(ঙ) যথাসম্ভব কিছু প্রার্থনা করবে না
(চ) অভাবীকে কটাক্ষ করে না
(ছ) সৎ কাজে অলসতা করে না
(জ) বিপদে আল্লাহকে ভুলে না
(ঝ) নিজ ধনে অন্যের মঙ্গল খোঁজে
(ঞ) অন্তর ও বাহির একরূপ
(ট) কৃপা করেও কৃতজ্ঞ থাকে
(ঠ) কারো দোষ দেখলে প্রচার করবে না
লোকমান হাকীম আঃ
১০। যা তুমি স্বয়ং করোনা বা করিতে পারো না, তা তুমি অন্যকে উপদেশ দিও না।
হযরত আলী (রাঃ)
উপদেশ নিয়ে নির্বাচিত বাণীগুলো নেওয়া হয়েছে আমাদের সকলের প্রিয় এবং শ্রদ্ধার ব্যক্তিদের প্রচারিত বাণী থেকে। উনাদের রেখে যাওয়া উপদেশগুলো আমাদেরকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করে। আশাকরি আমরা সকলে তা আমাদের জীবনের কার্যকর ক্ষেত্রে স্মরণ রাখব।