ফ্রিল্যান্সাররা কেমন আয় করেন এবং কাজের সময় কী রকম?

অনেকেই মনে প্রশ্ন ফ্রিল্যান্সাররা কেমন আয় করেন এবং তাদের কাজের সময়টা কেমন? 

ফ্রিল্যান্সাররা দুইভাবে কাজ করে থাকেন ঘণ্টা ভিত্তিক এবং ফিক্সড। ফ্রিল্যান্সাররা কে কী কাজ করছেন, কোন ধরণের কাজ করছেন, কোন দেশের ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করছেন তার উপর নির্ভর করে থাকে তাদের আয় এবং কাজের সময়।

যেমন ধরুন আপনি কোন একটা কোম্পানীর এসইও (Search Engine Optimization) এর কাজ করছেন। কাজটা যদি ফিক্সড প্রাইসের হয় তাহলে আপনি আপনার নিজস্ব সময়ে করে দিতে পারেন। আবার যদি সেটা হয়ে থাকে ঘণ্টা ভিত্তিক কাজ এবং আপনার কোম্পানী হয়ে থাকে ইউরোপ-আমেরিকার কোন কোম্পানী তাহলে তাদের অফিস সময়ের সাথে সময় মিলিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে রাত জেগে কাজ করতে হতে পারে।

*এসইও কী এবং কোন ধরণের কাজ পাওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আরেকটা পর্ব লিখব।

অনেকে মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং মানেই  রাত জেগে জেগে কাজ করা। কথাটা সব সময় ঠিক নয়। আমি এমন ধরণের কাজ নেই যাতে আমাকে সারারাত জেগে কাজ করতে না হয়। কারণ আমি রাত জাগতে পারি না। কোন কাজের ডেলিভারীর জন্য হয়ত অনেক সময় অনেক রাত অব্দি কাজ করতে হতে পারে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সার মানে রাতে কাজ করা এই বদ্ধমূল ধারণাটা ঠিক নয়।

ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় হয়ে উঠার পিছনে কিন্তু এটাও বড় একটা কারণ যে কাজের সময় এবং স্থান ঠিক করার সুযোগ নিজের কাছে।

ফ্রিল্যান্সারদের আয় নির্ভর করছে তাদের কাজের ধরণ এবং দক্ষতার উপর। একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসে আয় শূণ্য টাকা থেকে শুরু করে ৫-৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর যার যার কাজের মান, ধরণ, এবং দক্ষতার উপর। যেমনটা হয়ে থাকে বাস্তবিক কাজগুলোর ক্ষেত্রে। 

আপনার কাজের মান, ক্যাটাগরি, এবং দক্ষতার উপর আপনার কাজ পাওয়া এবং আয় নির্ভর করছে। 

ফ্রিল্যান্সারদের আয় কোন ধরা বাঁধা বা নির্দিষ্ট নয়। কোন ফ্রিল্যান্সারই বলতে পারবেন না যে তার মাসে এত টাকা নির্দিষ্ট আয় হয়। যদি কেউ কোন কোম্পানীতে মাসিক চুক্তিতে আবদ্ধ হন তখন তিনি এই কথা বলতে পারেন। ফ্রিল্যান্সার মানে যতক্ষণ কাজ ততক্ষণ আয়। 

তাই ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকামের জন্যও প্রস্তুত থাকা উচিত। যাতে করে কোন বিশেষ কারণে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ না করতে পারলেও যেন অন্য কোনভাবে কিছু আয়ের পথ খোলা থাকে। বর্তমানে অনলাইনে এমন প্রচুর প্যাসিভ ইনকামের সুব্যবস্থা রয়েছে। যার মধ্যে একটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এছাড়াও আরো অনেকভাবে আপনি সংকটকালীন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ যারা অনেক অনেক আয় করছে তাদের সাকসেস স্টোরি আর ইন্টারভিউ পড়ে এই কাজে ঝাপিয়ে পড়লে হবে না তার জন্য নিজেকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। প্রস্তুতি ছাড়া নেমে পড়ে বিফল হয়ে ফ্রিল্যান্সারদের বা ট্রেনিং সেন্টার বা মেন্টরদের দোষারূপ করে লাভ নেই। দোষটা মূলত আপনারই। কারণ আপনি নিজেকে যাচাই না করেই এই পথে নেমেছেন।

আগে নিজেকে যাচাই করুন। কোন সেক্টর আপনার জন্য উপযুক্ত তা বুঝুন। তারপর সে জায়গার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। নিজের সেই বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে সেই বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠুন। দক্ষ হওয়ার জন্য পড়ুন, জানুন, প্রয়োজনে ট্রেনিং গ্রহন করুন।

*হ্যাপী ফ্রিল্যান্সিং

Leave a Comment