ফ্রিল্যান্সিং ও স্কিল এবং এর  প্রয়োজনীয়তা

ফ্রিল্যান্সিং এ আসতে হলে আগে নিজেকে স্কিল করে আসতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং ও  স্কিল এই দুটো কথাই এক অপরের সাথে জড়িত। বারবারই বলছি ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে যেকোন একটা বিষয়ের উপর স্কিলড হতে হবে। স্কিলড হওয়া মানে দক্ষতা অর্জন করা। সেটা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই লাগবে। 

আপনি যদি ঝাল মুড়ি বিক্রেতা হোন, তাহলে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে ঝালমুড়িকে মুচমুচে রাখতে হয়, কিভাবে তা সংরক্ষণ করতে হয়, এই ধরণের সব কিছু আপনার জানা থাকা লাগবে। এটাই আপনার স্কিল। মুড়ি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান আছে বলেই আপনি এটা কাজে লাগিয়ে আয় করছেন।

তেমনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে যেহেতু আপনি আয়ের পথে এগুবেন তাই এখানেও আপনাকে যে কোন বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে তারপর কাজে নামতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কোন কোন বিষয়ে স্কিল হতে হবে?

 “জুতা সেলাই থেকে চন্ডিপাঠ” অর্থাৎ সবধরণের স্কিলকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করা যায়। আপনার সংশ্লিষ্ট স্কিলের সাথে শুধু বাড়তি কিছু বিষয় লাগবে। কম্পিউটারের উপর বেসিক জ্ঞান এবং ইংরেজীতে কমিউনিকেশন করার মতো দক্ষতা সাথে অবশ্যই ধৈর্য্য।

কোথায় গিয়ে নিজের স্কিলকে কাজ লাগাবেন?

ইন্টারনেটে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে সেখানে গিয়ে আপনার স্কিল রিলেটেড কাজ খুঁজে দেখবেন। সব ধরণের কাজ এখানে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র জানার অভাবে কাজ পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেস ছাড়াও সব ধরণের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে।

নিজেকে স্কিলড করবো কিভাবে?

প্রথমে নিজের যে বিষয়ে জ্ঞান আছে তা কাজে লাগান। দেখুন সেটা যদি সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারেন তাহলে নতুন করে আর কোন বিষয়ে স্কিলড হওয়ার প্রয়োজন নাই। আপনার যদি শুধু মাত্র ইংরেজীতেই ভালো জ্ঞান থাকে তাহলে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি বিশাল বড় একটা সেক্টরে কাজ করতে পারেন। যেখানে কাজের কোন শেষ নেই। কনটেন্ট রাইটিং এমন একটা বিষয় যেখানে কখনই কাজের চাহিদা শেষ হবে না। বরং দিন দিন তা বেড়েই চলছে।

যদি আপনার নিজের অভিজ্ঞতা আছে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে না চান তাহলে অন্য যেসব বিষয়ের উপর ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার বা ই লার্নিং সাইটগুলো আছে সেখানে দেখুন কোন বিষয়টা আপনার ভালো লাগে। সেটা নিয়েও এগিয়ে যেতে পারেন।

মনে করুন যেসব টেক রিলেটেড কোর্স আছে সেগুলো আপনার পছন্দ নয় তাহলে নন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে কোর্স রেডি করে সেগুলো সেল করেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

যেমন ধরুন আপনি মেন্টাল হেলথ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, এই নিয়ে আপনি অনলাইনে কাউন্সেলিং করতে পারেন, কোর্স করাতে পারেন।

আবার আপনি এইচআর হিসেবে অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। আপনি জানেন কিভাবে অফিসে একজন সফল এইচআর হতে হলে কী কী করতে হয়। সেটা নিয়েও একটা কোর্স করিয়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আয় করতে পারেন।

 আপনি ব্যাংকার। একজন ব্যাংকার হওয়ার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে তা জানিয়ে একটা কোর্স বানান, এভাবেও আপনি ফ্রিল্যান্সার ও পাশাপাশি ব্যাংকার হিসেবে আয় করতে পারছেন।

এই রকম অনেক ধরণের স্কিল নিয়ে আলোচনা চলমান থাকবে।

*হ্যাপী ফ্রিল্যান্সিং”

Leave a Comment