আবহমান কালের বাণী । যুগে যুগে প্রচলিত কিছু বাণী

একটা সময়ে আবহমান কালের বাণী সকলের মুখে মুখে ছিলো। বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে এই সকল বাণী আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এই ছন্দময় এবং অর্থমূলক বাণীগুলো প্রকাশ করে সবার কাছে পরিচিত করে দেওয়াই হলো এর উদ্দেশ্য। আশা করি সকলের তা ভালো লাগবে।

১। অনাবৃষ্টে রাজ্য মজে, পাপে মজে ধর্ম।

কোটালে গৃহস্থ মজে, আলস্যে মজে কর্ম।

২। অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর,

অতি বড় সুন্দরী না পায় বর।

৩। অজ্ঞানে করে পাপ, জ্ঞান হলে সরে,

সজ্ঞানে করে পাপা, সঙ্গে সঙ্গে ফেরে।

৪। অকেজোর তিন কাজ বড়,

ভোজন, নিদ্রা, ক্রোধ দড়।

৫। অঘটির ঘটি হল,

জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল।

৬। অতি চালাকের গলায় দড়ি,

অতি বোকার পায়ে বেড়ি।

৭। অতি প্রণয় যেখানে

নিত্য যাবে না সেখানে;

যদি যাবে নিত্য

ঘটবে একটা কীর্তি।

৮। অতি বাড় বেড় নাকো ঝড়ে ভেঙ্গে যাবে।

অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগল মুড়াবে।

৯। অনেক খাবে তো অল্প খাও,

অল্প খাবে তো অনেক খাও।

১০। অন্ন দেখে দেবে ঘি,

পাত্র দেখে দেবে ঝি।

১১। অন্ন নাই যার ঘরে,

তার ময়ানে কিবা করে।

১২। অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা,

একদিনে লাগে তালা।

১৩। অবুঝে বুঝাব কত বুঝ নাহি মানে।

ঢেঁকিরে বুঝাব কত নিত্য ধান ভানে।

১৪। অলক্ষীর নিদ্রা বেশি, 

কাঙ্গালের ক্ষুধা বেশী।

১৫। অল্প বৃষ্টিতে কাদা বেশি হয়,

বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয়।

১৬। আগে আপন সামাল কর,

শেষ পরকে গিয়ে ধর।

১৭। অতি লোভে তাঁতী নষ্ট,

অধিক সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট।

১৮। নিম তিত, নিশিন্দা তিত, তিত মাকাল ফল,

তার চেয়ে তিত কন্যে বোক সতীনের ঘর।

১৯। আপনের চেয়ে পর ভাল

পরের চেয়ে জঙ্গল ভাল।

২০। আপনার মান আপনি রাখ,

কাঁটা কান চুল দিয়ে ঢাক।

২১। ইদুঁর গর্ত খুড়ে মরে,

সাপ এসে দখল করে।

২২। উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট,

উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট।

২৩। উপোস করলে যাবে দিন,

ধার করলে হবে ঋণ।

২৪। এঁটে ধরলে চিঁচিঁ করে,

ছেড়ে দিলে লম্ফ মারে।

২৫। এক কলসী জল তুলে কাকালে দিলে হাত,

এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত।

২৬। এক কান কাটা শহরের বার দে যায়

দু’কান কাঁটা গায়ের ভিতর দিয়ে যায়।

২৭। এককাল ঠেকেছে, তিনক্লা গিয়ে,

তবু আবার করবে বিয়ে।

২৮। এক গাঁয়ের কুকুর, আর গাঁয়ের ঠাকুর।

২৯। এক পয়সা নাই থলিতে

লাফিয়ে বেড়ায় গলিতে।

৩০। এক পাগলে রক্ষা নেই,

সাত পাগলের মেলা।

এই রকম আরো আবহমান কালের বাণী পেতে জীবনের কথার সাথে থাকুন।

Leave a Comment