Animal Kingdom
৪র্থ দিন গেলাম পার্ক Animal Kingdom এ। এর আয়তন ৫৮০ একর। এটা একটু অন্যরকম। চারটা পার্কের মধ্যে এটা সবচেয়ে বড়। ওখানে গিয়ে দেখি মহাদেশ অনুযায়ী এলাকা ভাগ করা। এশিয়াতে বাংলা লেখা দেখে খুব ভালো লাগল।মাঝে মাঝে মনে হয় কোন প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় এসেছি। আরো ছিল ডিসকভারী ট্রেইলস আইল্যান্ড, ফেস্টিভাল অফ দ্যা লায়ন কিং, গ্রিটিংস ট্রেইল, কিলিমাঞ্জারো সাফারি, ওয়াইল্ড একপ্রেস ট্রেন, ফ্লাইটস অফ ওয়ান্ডার, মহারাজা জাঙ্গেল ট্রেক, কালি রিভার র্যাপিড, এক্সপিডিশন এভারেস্ট, বার্ড শো, রোলার কোস্টার, বিভিন্ন রাইড, আফ্রিকার জঙ্গলে ট্যুর, সাফারী পার্ক, বোট ট্যুর।
একটা রাইড ছিল Expedition Everest। খুব উত্তেজনাপূর্ণ রাইড ছিল। ট্রেনে করে সাজানো এভারেস্টের উপরে উঠে যায়। হঠাৎ করে একেবারে চূঁড়ায় থেমে যায়। এরপর পিছন দিক থেকে নেমে যায়। ভয়, উত্তেজনা, মজা সবই ছিলো একসাথে।
মহারাজা জাঙ্গেল ট্রেকের গ্লাস রুমের মধ্যে হেঁটে বাঘ এবং অন্যান্য প্রাণী দেখা যায়। ট্রেনের মাধ্যমে পুরো জঙ্গল ঘুরে দেখা যায়, চারপাশে বিভিন্ন ধরণের প্রানী ঘুরতে থাকে যেটা অন্যরকম লাগে।
বোট রাইডে বাচ্চারা খুব মজা পেয়েছিলো। এছাড়াও বিভিন্ন ৩ডি মুভি, রোলার কোস্টার রাইডগুলোও মজার ছিলো। লাইভ বার্ড শো ছিলো। যেখানে বিভিন্ন ধরণের পাখি দিয়ে অনেক মজার মজার প্রদর্শন ছিলো। ফুরফুরা মন নিয়ে, ঘুরাঘুরি শেষ করে দিনে দিনেই বের হয়ে গেলাম পার্ক থেকে।
দেখতে দেখতে চারদিন কেটে গেল। এই চারদিনের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। ডিজনি ট্যুর শেষে বাচ্চাদের খুশি ভরা মন দেখে নিজেরা তৃপ্ত হলাম। বাচ্চাদের খুশি মানেইতো বাবা মায়ের খুশি।
হোটেলে ফিরে হিসেব চুকিয়ে আমাদের বন্ধুর বাসায় গেলাম। ফ্লোরিডার আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দৃশ্য বাংলাদেশের মতো। সেজন্যই হয়তো এখানে বেশি বাঙ্গালী থাকে। আমারও বার বার মনে হচ্ছিল বাংলাদেশেই আছি। ঈদে এখানে বড় মাঠে জামাত হয়। কোরবানী মাঠে দিয়ে থাকেন, এগুলো জেনেছি আমাদের বন্ধুর কাছে। সময়ের স্বল্পতার কারণে উনারা আমাদেরকে নিয়ে আশেপাশে এবং মার্কেটে ঘুরিয়ে আনলেন। রাতে উনাদের বাসায় ছিলাম। উনার বাচ্চারা আর আমাদের বাচ্চারা সমবয়সী তাই তাদের খুব ভালো জমে গিয়েছিলো। ফ্লোরিডার ট্যুরটা ছোট খাটো কিছু সমস্যা ছাড়া ভালোই ছিলো।
ফেরার পথে আটলান্টা হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেখানে আমাদের এক আত্নীয় থাকে। উনাদের অনুরোধ ছিলো যেন তাদের ওখান থেকে ঘুরে যাই। এইবার না গেলে হয়ত আর সুযোগ হবে না তাই আত্নীয়ের বাসায় যাব বলে সিদ্ধান্ত নেই।
ফেরার পথে আটলান্টা হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেখানে আমাদের এক আত্নীয় থাকে। উনাদের অনুরোধ ছিলো যেন তাদের ওখান থেকে ঘুরে যাই। এইবার না গেলে হয়ত আর সুযোগ হবে না তাই আত্নীয়ের বাসায় যাব বলে সিদ্ধান্ত নেই।