ওয়াশিংটন ডিসি র উপর দিয়ে প্লেন যেতে যেতে দেখলাম কি সাজানো গুছানো বাড়ি, প্রতিটা বাড়ি নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী। গুছানো শহর। খুব ভালো লাগলো। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে রাত হয়ে গেল।
আমাদের প্লেন মেঘের ভিতর ঢুকে গেল। ভীষণ সুন্দর দৃশ্য। সবসময় আকাশ আর মেঘ আমরা নিচ থেকে দেখি আজ উপর থেকে দেখছি মেঘকে। মেঘ যে এত রূপবতী তা আগে কখনো বুঝিনি। মেঘের বহুরূপে আমি বিমোহিত। আমার ক্লান্তি, দুচোখের ঘুম মেঘের রূপের কাছে হার মানল। আমি কিছুতেই এই সৌন্দর্য অবলোকনের সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চাইলাম না। কখনো কখনো মেঘকে মনে হচ্ছিল সাদা পাহাড়, কখনো কখনো শুভ্র বাড়ি, কখনো মনে হচ্ছিল সাদা তুলো উড়ে বেড়াচ্ছে। মেঘের ঘর বাড়ি, পাহাড়, মেঘের গাছ একেকবার একেকটা মনে হচ্ছিল। এত সুন্দর যে তা ভাষায় প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। মেঘের বহুরূপ যতক্ষণ ছিলো ততক্ষণই আমি তা অবলোকন করলাম। সুবহানআল্লাহ।