ভুতু কাহানী । পর্ব ১

ভুতু কাহানী

গৃহ প্রবেশ ও নামকরণ টুইঙ্কেল প্রেগন্যান্ট হওয়ার আগ থেকেই তার খালার সাথে আমার মেয়ে চুক্তি হলো টুইঙ্কেলের বাচ্চা হলে একটা বাচ্চা আমার মেয়েকে এডপট করতে দিবে। টুইঙ্কেল প্রেগন্যান্ট হলো এবং এই সময়টায় সে খুব অসুস্থ হয়ে গেল। তাই তাদের চিন্তা হলো বাচ্চা পাবে কিনা?  ২০১৮ এর জুলাই মাসের খুব সম্ভবত ১৯ তারিখ, আমার মেয়ে দৌঁড়ে … Read more

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ । মায়ের ডায়েরী থেকে পাওয়া

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ

কোহিনূর আক্তার খানম আমাদের গ্রামটি ক্যান্টমেন্টের কাছাকাছি।। পাকিস্তানি সৈন্যগুলো না জানি কখন এসে পড়বে এই ভয়ে গ্রামের প্রতিটি মানুষ অস্থিরতার সহিত দিনাতিপাত করছে। ক্যান্টনমেন্ট হতে মাত্র ৪ কিলো পথ আমাদের ললিতাদহ গ্রাম। ১৯৭১ সালের ২৮শে মার্চ। সকাল থেকে খুব আতংকের সাথে দিন কাটালাম। সন্ধ্যায় আমার আব্বা (গ্রামের একজন প্রভাবশালী বিত্তবান ব্যক্তি) গ্রামের সকলকে বললো গ্রামে … Read more

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ৩১। আমাদের সীমাবদ্ধতা

আমাদের সীমাবদ্ধতা

আমেরিকায় অনেক উন্নত নাগরিক সুবিধা, ভালো শিক্ষা ব্যবস্থা এইসব নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই। আমি অবশ্যই এই ব্যাপারগুলো উপভোগ করেছি। আমি আশা করি আমাদের দেশও একদিন এই সকল সুবিধায় সমৃদ্ধ হবে। আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতিটা দ্রুত ঘটাতে পারলে বাংলাদেশ একদিন উন্নত দেশের কাতারে পড়বে। তখন এত গণহারে বিদেশে পড়তে যাওয়া কমে যাবে। শিক্ষা ব্যবস্থাতে বিপ্লব … Read more

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ৩০ । ফিরে দেখা

ফিরে দেখা

আমার স্বল্পকালীন বসবাসের সময় খুব বেশী বাঙ্গালিদের সান্নিধ্য না পেলেও যতটুকু জেনেছি তাদের মাধ্যমে মোটামুটি ধারণা পেয়েছি আমাদের বাঙ্গালীরা কেমন আছে প্রবাসে। প্রবাসে বাঙ্গালীদের আন্তরিকতা অতুলনীয়। কিছু ব্যতিক্রম আছে যা সব ক্ষেত্রেই থাকে। প্রথম প্রথম কোন মলে বা শপে বাঙ্গালী কাউকে দেখলেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়তাম। এগিয়ে গিয়ে অনেকের সাথে কথা বলতাম। কেউ কেউ আন্তরিকতা দেখাত, কেউ আবার তেমন প্রতিক্রিয়া বা আগ্রহ দেখাত না। 

ভুলতে পারি না

ভুলতে পারি না

কিছু ভালোবাসার স্মৃতি মনের গহীনে লেপ্টে থাকে আজীবন। কোনো বিষন্ন বিকেলে সেই স্মৃতি ভালোলাগার আবেশ ছড়ায়।

শেষবার তোমায় দেখলাম শাদায়! ধবধবে শাদায়! সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসলে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে
বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকা গ্রামেই রেখেছিল তোমায়!

তোমার বাপ বড় ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল তোমাকে ঘাড় থেকে নামাতে।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২৯ । মেঘের বহুরূপ

মেঘের বহুরূপ

ওয়াশিংটন ডিসি র উপর দিয়ে প্লেন যেতে যেতে দেখলাম কি সাজানো গুছানো বাড়ি, প্রতিটা বাড়ি নির্দিষ্ট দূরত্ব অনুযায়ী। গুছানো শহর। খুব ভালো লাগলো। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে রাত হয়ে গেল।

আমাদের প্লেন মেঘের ভিতর ঢুকে গেল। ভীষণ সুন্দর দৃশ্য। সবসময় আকাশ আর মেঘ আমরা নিচ থেকে দেখি আজ উপর থেকে দেখছি মেঘকে। মেঘ যে এত রূপবতী তা আগে কখনো বুঝিনি। মেঘের বহুরূপে আমি বিমোহিত। আমার ক্লান্তি, দুচোখের ঘুম মেঘের রূপের কাছে হার মানল। আমি কিছুতেই এই সৌন্দর্য অবলোকনের সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চাইলাম না। কখনো কখনো মেঘকে মনে হচ্ছিল সাদা পাহাড়, কখনো কখনো শুভ্র বাড়ি, কখনো মনে হচ্ছিল সাদা তুলো উড়ে বেড়াচ্ছে। মেঘের ঘর বাড়ি, পাহাড়, মেঘের গাছ একেকবার একেকটা মনে হচ্ছিল। এত সুন্দর যে তা ভাষায় প্রকাশ করার ভাষা আমার জানা নেই। মেঘের বহুরূপ যতক্ষণ ছিলো ততক্ষণই আমি তা অবলোকন করলাম। সুবহানআল্লাহ।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২৮ । ব্যাগেজ বিড়ম্বনা

ব্যাগেজ বিড়ম্বনা

আমাদের সাড়ে এগারো মাসের সফর প্রায় শেষ হয়ে এলো।  দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম। জাতিগতভাবে আমাদের আবেগ একটু বেশি।  কোথাও বেড়াতে গেলে বিশেষ করে বিদেশে গেলে আত্নীয় স্বজনের জন্য সামান্য কিছু হলেও উপহার সামগ্রী আনার চেষ্টা করি। আমেরিকার লাগেজ নিয়ম অনুযায়ী আমরা সাধারণভাবে ৫০ পাউন্ড করে ৪ জন মোট ৮ টা ব্যাগ পাবো। কিন্তু মিলিটারীদের জন্য প্রতি ব্যাগের ওজন ৭০ পাউন্ড করে এবং জনপ্রতি ১ টা করে অতিরিক্ত ব্যাগ বরাদ্ধ অর্থাৎ আমাদের ৪ জনের ১২টা ব্যাগ যার প্রতিটির ওজন ৭০ পাউন্ড করে পাওয়ার কথা। আমরা সেই সুবিধা পাবো কিনা তা জানার জন্য আমাদের লিজিং কোম্পানী ওদের হেড অফিসের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত করল যে মাদের জন্য মিলিটারী ব্যাগেজ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। আমরা মহা ফূর্তিতে কেনাকাটা করে ৫০ পাউন্ডের ব্যাগকে ৭০ পাউন্ড করা শুরু করলাম।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২৭ । কিছু ভিন্নতা, কিছু নিয়ম, কিছু অসংগতি

কিছু নিয়ম কিছু অসংগতি

আমেরিকাতে গৃহহীনদের জন্য সরকারীভাবে থাকার ব্যবস্থা থাকলেও অনেকে সেখানে থাকতে চায় না। কারণ ওখানে থাকলে নাকি অনেকের মাদকের টাকা জোগাড় হয় না। তারচেয়ে গৃহহীন হয়ে বাহিরে থেকে হাত পেতে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে তাদের নেশার টাকা যোগাড় হয়ে যায়। এগুলো কোনটাই আমার নিজের কথা নয়, সবকিছুই জেনেছি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২৬ । আদালতের অভিজ্ঞতা

আদালতের অভিজ্ঞতা

আমাদের প্রফেসর সাহেবও রায় শুনে হতবাক হলেন। তারপর উনি বললেন বিচারক পুলিশের পক্ষে রায় দিয়েছেন কারণ তা না হলে পুলিশ কাজ করবে না। এসব জরিমানা, ট্যাক্সের টাকায় প্রতিটি কাউন্টি চলে। ওদের বেতন-ভাতা সব এইসব আয় থেকেই হয়। ওদেরকে প্রতি মাসে একটা টার্গেট দেওয়া হয়। কোন মাসে কম হলে তাদের বেতনও আটকে যায়। সুতরাং সব জলের মত পরিস্কার।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২৫ । পুলিশি অভিজ্ঞতা

পুলিশি অভিজ্ঞতা

আমেরিকায় পুলিশকে এত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যে তাদের কাজের সমালোচনা বা কোন কথা বলার কেউ নেই। এক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর তার বাসার চাবি হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি তার বাসা ঢুকার জন্য দরজার তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করছিলেন। পাশের বাসার লোক না বুঝেই পুলিশ কল করলেন। পুলিশ আসল এবং উনিই যে বাসার মালিক তা তারা কোনমতেই বিশ্বাস না করে তাকে এরেষ্ট করে নিয়ে গেল। পরে অনেক ঝামেলার পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এই ঘটনাটা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। প্রেসিডেন্ট ওবামা এই ঘটনার জন্য নিন্দা জানালেন এবং বলেছিলেন, “পুলিশের উচিত ছিল প্রফেসরের কথা বিশ্বাস করা।“ পুলিশ কমিশনার প্রেসিডেন্টের এই কথা খুব মাইন্ড করলেন এবং বললেন “প্রেসিডেন্ট যদি এই রকম মন্তব্য করেন এবং আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে আমাদের কাজ করা সমস্যা হয়ে যাবে।“ পরে ওবামা দুপক্ষকে ডেকে সমঝোতা করতে হয়েছে।