আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২৪ । আমেরিকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা

ব্যাংকিং ব্যবস্থা

আমি ঠিক জানিনা আমেরিকায় কেন জমানো বা মেয়াদী টাকার উপর কোনরূপ সুদ, মুনাফা বা লভ্যাংশ দেয় না। কারণ যাই হোক সবাই তা মেনে নিচ্ছে এবং এই নিয়ে তাদের মধ্যে কোন দ্বিধাও নেই। যে কোন দেশে সরকারীভাবে নিয়ম একবার চালু হলে তা মেনে নিতে জনগণ বাধ্য। তবে ব্যাংক থেকে যে লোন দেওয়া হয় তা কিন্তু সুদ মুক্ত নয়। আপনার ভালো ক্রেডিটের উপর লোনের মেয়াদ এবং সুদের পরিমাণ নির্ভর করে।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২৩ । আমেরিকার চিকিৎসা সেবা

আমেরিকার চিকিৎসা সেবা

ইউএসএ তে আপনি চাইলেই ফার্মেসী থেকে যেকোন ওষুধ বিশেষ করে ব্যাথানাশক, এন্টিবায়োটিক, কিংবা ঘুমের ওষুধ কিনতে পারবেন না। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কেবল ভিটামিন, সাপ্লিম্যান্ট এবং হালকা ব্যাথানাশক ওষুধ কিনতে পারবেন। আর আমাদের দেশেতো ঘরে ঘরে আমরা সবাই ডাক্তার! 

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২২ । পোষা প্রাণী

পোষা প্রাণী

 আমার ছেলের চিড়িয়াখানা দেখার অনেক শখ। তাই ওদেরকে নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল জু’তে গেলাম। মেট্রোতে করে গেলাম। এই মেট্রো স্টেশন অনেক উপরে। নিচে নামার জন্য বিশাল এস্ক্যালেটর। নিচ থকে উপর দেখা যায় না। এর উচ্চতা ১১৫ ফুট। ওয়াশিংটন ডিসির লম্বা এস্ক্যালেটরগুলো মধ্যে এটা একটা। এত নিচে সত্যি অবাক করার মত। 

পূর্ণিমা রাতে নিকষ কালো আঁধার

পূর্ণিমা রাতে

 প্রতি পূর্ণিমা রাতে তারা গল্প করে কিংবা গান শুনে কাটিয়ে দিত। আর প্রতি বছর একবার করে ভরা পূর্ণিমার রাতে দূরে কোথাও ঘুরতে যেত। এইভাবে করে তাদের সংসার জীবনের চতুর্থ বছরে ঘর আলো করে এলো তাদের পুত্র সন্তান। যেন মায়ের অবিকল। জন্মও হলো ভরা পূর্নিমা রাতে। এবারও মিজান সাহেব নাতির নাম রাখলেন শশী।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২১ | স্ট্যাচু অব লিবার্টি

স্ট্যাচু অব লিবার্টি

মূর্তিটির ডান হাতে মশাল যা কিনা স্বাধীনতার প্রতীক এবং মশালের আলো দ্বারা পৃথিবীকে আলোকিত করছে বোঝাচ্ছে। বাম হাতে বই বা সংবিধান তাতে রোমান ভাষায় আমেরিকার স্বাধীনতার তারিখ ৪ জুলাই ১৭৭৬ (JULY IV MDCCLXXVI) লেখা রয়েছে। মাথায় যে মুকুট রয়েছে তাতে ৭টি  রশ্মির মতো রয়েছে। সেই ৭টি রশ্মি দ্বারা ৭ টি মহাদেশ ও ৭টি সমুদ্রকে বোঝানো হয়েছে। পায়ে শিকল রয়েছে যেটা দ্বারা বোঝাচ্ছে শিকল ভেঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ দাসপ্রথা বিলুপ্ত বোঝাচ্ছে। অনেকে দূর দূরান্ত থেকে স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখতে আসে। আমরাও আমাদের দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে এটাকে রাখলাম। জ্যাকসন হাইটস থেকে লিবার্টি আইল্যান্ড অনেক দূরে। জ্যাকসন হাইটস থেকে সাবওয়ে করে রওয়ানা দিলাম। এক ঘণ্টা পর পৌঁছালাম। সেখান থেকে শীপে করে লিবার্টি আইল্যান্ডে যেতে হবে।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ২০ । নিউইয়র্ক

নিউইয়র্ক

সব বাঙ্গালী দোকান। সাইনবোর্ডগুলো বাংলায়- আড়ং, সাদাকালো, আলাউদ্দিন সুইটস ইত্যাদি নামের বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত দোকান রয়েছে। 

এখানে সকলে সকলের চেনা। সবাই বাংলা ভাষাভাষী। বাংলাদেশের সব ধরণের খাবার, জিনিসপত্র এখানে পাওয়া যায়। এই এলাকায় যারা থাকে তারা বাংলাদেশকে খুব একটা মিস করেন না। বিদেশে দেশী খাবার, নিজের ভাষা এগুলোকে সবাই কম বেশী মিস করে থাকে। এখানে সেগুলো পরিপূর্ণ। সেই সময়ে আমি সেখানে কাঁচা কাঠালও বিক্রি হতে দেখেছি। অনেকদিন পর মনে হলো বাংলাদেশেই আছি।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ১৯ । প্রেসিডেন্ট হাউজ

প্রেসিডেন্ট হাউজ

জেমস মেডিসনের মন্টপিলিয়ার বাড়িটি অরেঞ্জ কাউন্টিতে অবস্থিত। পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ২৬৫০ একরের  বাড়িটিতে অনেক ঐতিহাসিক জিনিস দেখলাম। উনার বাড়িতে দেখলাম নিজস্ব আবিষ্কৃত কপিং মেশিন। এই মেশিন দেখে খুব ভালো লাগল । সেই আবিষ্কৃত মেশিনের একপাশে মেডিসন কলম দিয়ে লিখেন, একটু দূরে অন্যপাশে আরেকটা কলম বাঁধা থাকে। সেই কলম দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আরেক কপি লেখা হয়ে যায়।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ১৮ । তুষারপাত (Snowfall)

তুষারপাত

তুষারপাত শুরু হলে আকাশটা ধবধবে সাদা হয়ে যায়। এই সাদা অন্যরকম সাদা। আকাশের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে তুষারপাত শুরু হচ্ছে। তুষার বাতাসে উড়ে যায় মনে হয় তুলা উড়ছে। মনোরম সেই দৃশ্য!

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ১৭। সাদা ভার্জিনিয়া

সাদা ভার্জিনিয়া

আটলান্টা জর্জিয়া প্রদেশে অবস্থিত। কোকা কোলার জন্মস্থান এই আটলান্টায়। এর হেড অফিস ছাড়াও দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। আমেরিকার সবচেয়ে বড় অ্যাকুরিয়াম রয়েছে এই আটলান্টায়। আমাদের সময় খুব সংক্ষিপ্ত হওয়ায় এর কিছুই দেখার সুযোগ হয়নি। তবে আমার স্বামী অফিসিয়াল ট্যুর ছিলো আটলান্টায়। তিনি অনেক কিছু দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

আমার দৃষ্টিতে স্বপ্নের দেশ ১৬ । Animal Kingdom

Animal Kingdom

Animal Kingdom এর আয়তন ৫৮০ একর। এটা একটু অন্যরকম। চারটা পার্কের মধ্যে এটা সবচেয়ে বড়। ওখানে গিয়ে দেখি মহাদেশ অনুযায়ী এলাকা ভাগ করা। এশিয়াতে বাংলা লেখা দেখে খুব ভালো লাগল।মাঝে মাঝে মনে হয় কোন প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকায় এসেছি। আরো ছিল ডিসকভারী ট্রেইলস আইল্যান্ড, ফেস্টিভাল অফ দ্যা লায়ন কিং, গ্রিটিংস ট্রেইল, কিলিমাঞ্জারো সাফারি, ওয়াইল্ড একপ্রেস ট্রেন, ফ্লাইটস অফ ওয়ান্ডার, মহারাজা জাঙ্গেল ট্রেক, কালি রিভার র‍্যাপিড, এক্সপিডিশন এভারেস্ট, বার্ড শো, রোলার কোস্টার, বিভিন্ন রাইড, আফ্রিকার জঙ্গলে ট্যুর, সাফারী পার্ক, বোট ট্যুর।