মায়ের কবিতা- ৩৯ । নিশি
নিশিতে শয্যায় মগ্ন হয়ে শুয়ে আছি
মৃদু মৃদু পায়ের আওয়াজ লাগছে কানে।
দৃষ্টিতে যেন মানবের ছায়া পড়ছে
কে, কে, কে তুমি?
নিশিতে শয্যায় মগ্ন হয়ে শুয়ে আছি
মৃদু মৃদু পায়ের আওয়াজ লাগছে কানে।
দৃষ্টিতে যেন মানবের ছায়া পড়ছে
কে, কে, কে তুমি?
প্রণয়, আজ আর নয় কথা
গড়িয়ে গেছে অনেক বেলা
তোমার দর্শন পাওয়ার আশায়
এসেছি সকাল বেলা।
মনে ছিল বড় আশা
শ্যামলের সাথে বাঁধবো সুখের এক বাসা।
তীর্থন নদীর ঘাটে বসেছিল শ্যামল একেলা।
ছুইওনা রবিন আমায় তুমি
কলংকের কালি লাগবে গায়ে
শাড়ীর আঁচল ছিড়ে যাবে
ভাল যদি বেসে থাকো রাখ গোপনে
সুধাবো মনের জ্বালা মরণের পরে।
তীতুমীর তোমার ভালবাসায়
আমি মুগ্ধ হয়েছি।
তোমার ক্যাম্পাসে অমর হয়ে থাকবো আমি,
সৈকত ভ্রমণে উদার হয়ে রইবো অথৈ সাগরে
সন্ধ্যা ফুলের মত উঠবো ফুটে।
কত যন্ত্রণা তিক্ততার শেওলা পড়ছে সবুজ ঘাসে।
সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু অবিরাম কাঁদছে
নিরাপত্তাহীন আবহাওয়া হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
প্রেমিকের আশার আলোর মাঝে আধাঁরের ছায়া।
কোঁকড়ানো মাথার চুল
সিগ্ধ হাসি তার
ষ্টেনগান কাঁধে নিয়ে চলছে অবিরাম।
যাওয়ার কালে বলেছিল, সুমনাকে
যুদ্ধে জয়ী হয়ে
ফিরে এসে তোমায় করবো বিয়ে।
আমি কখনও গগণ চুম্বি আশা করিনি,
আমি আমার বাগানের পরিচর্চায় মগ্ন থাকি,
স্মৃতির মনিহারে গাঁথা অনেক ব্যথা আছে জমা
লাল গোলাপের পাঁপড়ি ছিড়ে ঘ্রান দেখি।
কখনও ইচ্ছা করে
শিশিরে স্নান করা শিউলি ফুলের মত
সদ্য স্নান করে এলোমেলো চুল নিয়ে
তোমার দৃষ্টিতে আসি।
সরল ভাষায় ছন্দ দিয়ে লিখি কবিতা
এরেই মাঝে না বুঝার তো নেই কথা।
বুঝেও যদি না বুঝার ভান করে
লেখকের আর কী করার আছে?