মায়ের কবিতা- ২৯ । পারিনি
পৃথিবী আমাকে চায়নাতো আর
ভেবেছি অনেকবার
কি হবে বেঁচে থেকে আর
সুখের দিনগুলি গেছে পেরিয়ে
সময়তো নেই আর।
পৃথিবী আমাকে চায়নাতো আর
ভেবেছি অনেকবার
কি হবে বেঁচে থেকে আর
সুখের দিনগুলি গেছে পেরিয়ে
সময়তো নেই আর।
ব্যথা বেদনার স্মৃতিগুলি ভেসে উঠে মনে
কত যে আঘাত পেয়েছি জীবনে।
নিরব হৃদয়খানা বিশ্বাস করেছিল জনমের তরে
ভুলে বুঝি করে মানুষ এমনি করে
হিমালয়ের হিমেল হাওয়া ছিল হৃদয়ে আমার
বসন্তের কোকিলের কুহু কুহু গান ছিল
কণ্ঠে আমার।
জীবনে কিছু পাইনি বলে,
অভিযোগ নেই আমার,
রোগ শোক আছে বলে আক্ষেপ নেই আর
জন্ম থেকে রোগ আমার নিত্য সঙ্গী,
দু:খ আমার অহরহ আছে বলেই
সুখকে আমি ভালবাসি।
নিত্য দিনে শত ব্যথার মাঝে হাজার কথার পাশে,
তুমি বেঁচে থাকো মোর প্রিয়।
তুমি আছ বলেই শক্তি আসে আমার মাঝে
তুমি আছ বলিতো পৃথিবী আমার কাছে আলোময়,
তুমি আছ বলেইতো আমি যেন ফুটন্ত গোলাপ।
সে শুধু আমায় ভালবাসার কথা কয়
ভালবাসা কাকে বলে আমাকে বুঝায়
আমিতো জেনেও জানিনা, বুঝেও বুঝিনা
শুধু জানি পৃথিবীটা বড় মায়াময়।
আমি শান্ত, আমি ক্লান্ত, আমি তিক্ত
আমি নিত্যদিনের যুদ্ধে যেন পরিত্যক্তা।
আমি হেসেছি, আমি কেঁদেছি, আমি ঘুমিয়েছি
আমি প্রতিদিন রুটিন নিয়ে এগিয়ে চলেছি
তবুও আমি অবহেলিত।
একদিন সকাল বেলা বলেছে আমার সন্তানেরা
মা তুমি কেমন আছো?
বলেছি আমি, রেখেছে খোদা যেমন
নীরবে কেঁদেছি তখন বলেছি যখন
দুই হাত তুলে করেছি প্রার্থনা
মানুষ যেন হয় আমার সন্তানেরা।
ইচ্ছে করে জড়িয়ে পড়ি
হৃদয়খানা মেলে ধরি
মানুষগুলি কত কঠিন
দিবানিশি ভেবে মরি।
কখন যে বেলা শেষ হয়ে এলো
বুঝিনিতো আমি
জীবনের এতগুলি দিন ফুরিয়ে গেল
ভাবিনিতো আমি।
আজও মনে পড়ে
লালটুকটুক শাড়ী পরে
হাতে মীহেদি লালে লাল করে
সোনার গহনা গায়ে
বসেছিলেম ছোট্ট মেয়েটি
নববধূর বেশে।