মায়ের কবিতা- ১৯ | ছলনাময়ী
আমি দেখেছি যারে বেসেছি ভালো অবলা ভেবে
সেতো নয় সত্যি, সে যে ছলনাময়ী দুষ্ট রমনী,
সুযোগ পেলেই ছড়ায় বিষের কণা
আবার কেড়ে নিতে চায় হৃদয়ের মধ্যখানা।
আমি যাহা বুঝিনা জানিনা
তাহার নয় কিছু অজানা।
আমি দেখেছি যারে বেসেছি ভালো অবলা ভেবে
সেতো নয় সত্যি, সে যে ছলনাময়ী দুষ্ট রমনী,
সুযোগ পেলেই ছড়ায় বিষের কণা
আবার কেড়ে নিতে চায় হৃদয়ের মধ্যখানা।
আমি যাহা বুঝিনা জানিনা
তাহার নয় কিছু অজানা।
সে আমাকে বলেছিল কোন একদিন
আমি ছাড়া গতি নাই আর কোনদিক
জীবনে মরণে থাকবে সে আমার কাছে
ভালবেসে হৃদয়টা বিলিয়ে দিয়েছে শুধু আমাকে।
সে এক অচিন গাঁয়ের ছেলে
আমায় দেখে হেসে বলে মা বলবে ডেকে।
দেখে আমার মায়া হলো বুকে নিলাম টেনে
আদর করে বললাম তাকে, থাকো আমার কাছে।
বিদায়
আমি যখন একলা থাকি আমার ঘরের মাঝে
আর ভাবি মনে মনে একদিন সবকিছু ফেলে,
যেতে হবে মায়ার পৃথিবী ছেড়ে
জীবনে কত সংগ্রাম করে, কত বাঁধা বিঘ্ন ঠেলে
সাজাইয়াছি ঘরখানি।
আমি লিখতে চাইনি এই কবিতা।
মনের অজান্তে এলো দুটি কথা,
পৃথিবীতে থাকবে ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা
বিনিময়ে আছে শুধু অবিচার, লাঞ্চনা, প্রতারণা,
জীবনের দাম তাই দুঃখ বেদনা।
আমি যখন এই প্রান্ত শালায় চেয়ে থাকি আনমনে
সারা আকাশ জুড়ে মেঘে মেঘে খেলা করে আপন মনে
চারিদিকে দৃশ্যলিলা সব যেন অবহেলা
এ বিশ্বম্ভরপুর এলাকা।
স্রষ্টার সৃষ্টি দেখে তন্ময় হয়ে এই বিশাল পৃথিবী
যতটুকু দেখেছি মুগ্ধ হয়েছে হৃদয় আমার
দূর দূরান্ত হতে বদলি হয়েছে হৃদয়শ্বর আমার
আমার বাসস্থান হতে কয়েক’শ মাইল দূরে
এই বিশ্বম্ভরপুরে।
দেশটা কেন আমন হলো বলতে পারিস খোকা?
বেকার জীবন ধারণ করে তোরা সবাই যেন বোকা।
বিশ্ব জুড়ে চলছে যখন প্রতিযোগিতা করে
তোরা কেন বসে আছিস বাংলার ঘরে ঘরে?
জীবন যুদ্ধে নামতে হবে এই প্রতিজ্ঞা কর।
আমি চাইনি এমন প্রাসাদ
চাইনি আমি এমন আলোয়
আমি চাইনি এমন রাজত্ব
চেয়েছিলাম একটি নিবিড় কুটির
সেই কুটিরের, আমি মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী।
আমি দেখেছি সেই নবীন যুবকটিকে
মুখ ভরা হাসি তার প্রাণ খোলামেলা।
দিতে চায় সে দূর করে সকলের ব্যথা-বেদনা