মায়ের কবিতা- ১৯ | ছলনাময়ী

ছলনাময়ী

আমি দেখেছি যারে বেসেছি ভালো অবলা ভেবে
সেতো নয় সত্যি, সে যে ছলনাময়ী দুষ্ট রমনী,
সুযোগ পেলেই ছড়ায় বিষের কণা
আবার কেড়ে নিতে চায় হৃদয়ের মধ্যখানা।
আমি যাহা বুঝিনা জানিনা
তাহার নয় কিছু অজানা।

মায়ের কবিতা- ১৬ | বিদায়

বিদায়

বিদায়
আমি যখন একলা থাকি আমার ঘরের মাঝে

আর ভাবি মনে মনে একদিন সবকিছু ফেলে,

যেতে হবে মায়ার পৃথিবী ছেড়ে

জীবনে কত সংগ্রাম করে, কত বাঁধা বিঘ্ন ঠেলে

সাজাইয়াছি ঘরখানি।

মায়ের কবিতা-১৫ | অজান্তে

অজান্তে

আমি লিখতে চাইনি এই কবিতা।

মনের অজান্তে এলো দুটি কথা,

পৃথিবীতে থাকবে ভালোবাসা, স্নেহ-মমতা

বিনিময়ে আছে শুধু অবিচার, লাঞ্চনা, প্রতারণা,

জীবনের দাম তাই দুঃখ বেদনা।

মায়ের কবিতা- ১৪ | দূর্ভোগ

দূর্ভোগ

আমি যখন এই প্রান্ত শালায় চেয়ে থাকি আনমনে

সারা আকাশ জুড়ে মেঘে মেঘে খেলা করে আপন মনে

চারিদিকে দৃশ্যলিলা সব যেন অবহেলা

এ বিশ্বম্ভরপুর এলাকা।

মায়ের কবিতা- ১৩ | নিয়তি

নিয়তি

স্রষ্টার সৃষ্টি দেখে তন্ময় হয়ে এই বিশাল পৃথিবী

যতটুকু দেখেছি মুগ্ধ হয়েছে হৃদয় আমার

দূর দূরান্ত হতে বদলি হয়েছে হৃদয়শ্বর আমার

আমার বাসস্থান হতে কয়েক’শ মাইল দূরে

এই বিশ্বম্ভরপুরে।

মায়ের কবিতা- ১২ | বেকার

বেকার

দেশটা কেন আমন হলো বলতে পারিস খোকা?

বেকার জীবন ধারণ করে তোরা সবাই যেন বোকা।

বিশ্ব জুড়ে চলছে যখন প্রতিযোগিতা করে

তোরা কেন বসে আছিস বাংলার ঘরে ঘরে?

জীবন যুদ্ধে নামতে হবে এই প্রতিজ্ঞা কর।