মায়ের কবিতা-৬ | জীবন
কি জানি কি ভাবনায়, ভেবে মরি দিবা নিশি
যত আশা জাগে মনে, নিরাশ হই সর্বক্ষণে।
ছন্দ দিয়ে কবিতা লিখি
হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি।
কি জানি কি ভাবনায়, ভেবে মরি দিবা নিশি
যত আশা জাগে মনে, নিরাশ হই সর্বক্ষণে।
ছন্দ দিয়ে কবিতা লিখি
হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি।
জীবনটা কতটুকু আমারতো নেই জানা
কেন অহেতুক ভেবেই সারা,
কল্পনায় যার ছবি আঁকে,
আমিতো তাকে চিনিনা।
ওগো মোর বিশ্বাসের কন্ঠমালা
শুনবে মোর গীতি রচনা!
যেদিন ভুবনে এসেছি আমি,
কেঁদেছিলাম সজোরে
হেসেছিল সবে ভাবেনি তারা
আমি যে অবলা।
তুমি ডাকো যখন শুধু তোমারি পাশে থাকতে,
এ জীবন ধন্য হয় তোমারি স্পর্শে,
পৃথিবীর যত জ্বালা হয় যেন নিবারণ
তোমারি পাশে থাকলে।
১।“যখন তুমি চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকবে, তখন ধৈর্য্য ধরবে। ধৈর্য্যের চাবি সুখের দরজা খুলে দেয়।”
২।“প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটা নিদির্ষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে এবং প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই তাড়না অনুভব করে।”
আমাদের পৌঁছার কয়েক দিনের মধ্যেই সবার আইডি কার্ড হয়ে গেছে। আমার স্বামী ইউএসএ মিলিটারি কার্ড পেয়ে গেছেন। সাথে আমাদেরকেও মিলিটারি ফ্যামিলি কার্ড দিয়ে দিয়েছে। তার মানে আমরা এখন থেকে মিলিটারী সদস্যদের সব সুবিধা পেতে পারি। মিলিটারি সদস্যদের একটা সুবিধা হচ্ছে ‘কমিসারী’, মানে ডিসকাউন্টেড শপ – অনেকটা আমাদের সিএসডি এর মত।
বাসার পাশেই রাস্তার ওপাড়ে পেন্টাগন সিটি শপিং মল। সেখানে অনেক নামী-দামী ব্র্যান্ডের শপ। তার মধ্যে খুব উল্লেখযোগ্য ছিল কস্টকো (Costco)। আমেরিকার সবচেয়ে বড় পাইকারী সুপার চেইন শপ। শুধুমাত্র কার্ডধারীরাই কস্টকোতে প্রবেশ এবং কেনাকাটা করতে পারেন। ১০০ ডলার জমা দিয়ে কার্ড করতে হয়। তবে একজন কার্ডধারীর সাথে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা অতিথি সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন।
মালপত্র নিয়ে বের হতে যাব, তখনি দেখি আমাদের নামসহ প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাঝ বয়সী দীর্ঘাকার একজন আমেরিকান মহিলা। আমরা এগিয়ে আসতেই পরিচয় দিলেন, “আমি শ্যারন, আপনাদের হাউস লিজিং এজেন্ট”।
আমাদের যাদের জন্ম ৭০ দশকে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের পর তারা অনেক ভাগ্যবান। তারা প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি ও অনেক অনেক বিবর্তনের সাক্ষী। আমরা ভাগ্যবান কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা আমরা দেখতে পাইনি। যুদ্ধের কঠিন সময়গুলো পার করে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে জন্মলাভ করেছি। আমরা জন্মেই জেনেছি আমরা বাংলাদেশী। আমরা পূর্ব পাকিস্তানী থেকে বাংলাদেশী হইনি। আমরা সরাসরি বাংলাদেশী হিসেবে নিজের পরিচয় নিয়ে এসেছি। সেজন্য গর্বিত।